সন্দ্বীপ-০৩ আসনে জনমত জরিপে এগিয়ে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন প্রকাশিত: ৬:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২৫ সন্দ্বীপ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) সংসদীয় আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিচালিত সর্বশেষ জনমত জরিপে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন। স্থানীয় ও অনলাইনভিত্তিক কয়েকটি গবেষণা ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের যৌথ জরিপে দেখা যায়, ভোটারদের এক বড় অংশই মিল্টনকে “স্মার্ট ও মানসম্মত নেতৃত্বের প্রতীক” হিসেবে বিবেচনা করছেন। জনপ্রিয়তার শীর্ষে মিল্টন সন্দ্বীপের বিভিন্ন ইউনিয়ন—মগধরা, সারিকাইত, হারামিয়া, কালাপানিয়া, উড়িরচর, পূর্ব ও পশ্চিম সন্দ্বীপসহ পৌর এলাকায় পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, প্রায় ৬০% উত্তরদাতা মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টনের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন, যা অন্য যে কোনো সম্ভাব্য প্রার্থীর তুলনায় এগিয়ে। জরিপে তরুণ ভোটারদের বড় অংশই উল্লেখ করেছেন, “মিল্টন একজন শিক্ষিত, আধুনিক চিন্তার ও জনগণের কাছাকাছি থাকা রাজনীতিবিদ।” তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী কল্যাণ, শিক্ষা উন্নয়ন, সামাজিক সেবা ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত রয়েছেন। প্রবাসী ও তরুণদের আস্থা ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসীদের অনেকেই মিল্টনের নাম উল্লেখ করে জানিয়েছেন, তিনি সবসময় প্রবাসীদের পাশে থেকে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করেন। একজন প্রবাসী তরুণ বলেন, “সন্দ্বীপের মানুষের কণ্ঠস্বর বিদেশে পৌঁছে দেন মিল্টন ভাই। তিনি প্রবাসীদের দুঃখ-দুর্দশা বোঝেন, তাই আমরা তাঁর পাশে আছি।” স্থানীয় শিক্ষার্থীরাও জানান, মিল্টন তরুণ সমাজকে রাজনীতি, নেতৃত্ব ও মানবসেবায় যুক্ত করতে উৎসাহিত করেন। মানবিক ও উন্নয়নমুখী নেতৃত্ব গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ ও মানবিক সহায়তার মাধ্যমে মিল্টন সন্দ্বীপে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন। কোভিড-১৯ সময়কালে খাদ্য সহায়তা, অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, বিদেশে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার মতো কার্যক্রমে তিনি ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেন। এছাড়া সন্দ্বীপের অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় সরকারের পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করে তোলায়ও তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপির বলিষ্ঠ কণ্ঠ: দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও তিনি ছিলেন দেশের রাজনৈতিক সংকট ও গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের অগ্রভাগে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থেকেও অব্যাহত প্রতিবাদ জানিয়ে গেছেন। হোয়াইট হাউস, ইউএস সিনেট, স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পরিচালনা করেছেন। সেখানে অবস্থানরত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জনাব মিল্টন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ও সিনেটে বাংলাদেশে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো বারবার উপস্থাপিত হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ও মার্কিন সিনেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ ও দেনদরবার করে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন তিনি। বিশেষ করে ওয়ান-ইলেভেনের পরে তারেক রহমানের ওপর নির্যাতন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যায় গ্রেফতারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণেও তিনি ছিলেন নিরলস অকুতোভয় যোদ্ধা। . মিথ্যা মামলা, নির্বাসন ও আন্দোলন: বিএনপির হয়ে তার এমন টর্নেডোসম ভুমিকায় ভীত হয়ে স্বৈরাচারী সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে! অভিযোগ ছিল, শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা। এ মিথ্যা মামলার কারণে তাঁকে দীর্ঘ ৯ বছর নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয় যুক্তরাষ্ট্রে। আর্থিক ও মানসিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ততার শিকার হন। তিনি এই সময়টাকে পুরোপুরি কাজে লাগান স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে বিদেশীদের জনমত গড়ে তোলার কাজে, নিজেকে প্রমাণ করেন দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সক্রিয় আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে বিএনপির আন্তর্জাতিক অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেন। তিনি একাধিকবার মার্কিন নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন—বিশেষ করে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-এর সঙ্গে। রাইট টু ফ্রিডম, হোয়াইট হাউস, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ করে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংকট ও রাজনৈতিক দমননীতির বিস্তারিত তুলে ধরেন। শুধু কূটনৈতিক যোগাযোগেই থেমে থাকেননি, আন্দোলনের সময় সন্দ্বীপে গ্রেফতার হওয়া বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীদের আইনি ও পারিবারিক সহায়তা দেওয়ার দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নেন। বিশ্লেষকদের মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও স্থানীয় সাংবাদিকরা মনে করেন, বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন বর্তমানে মাঠপর্যায়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা যদি এভাবে বজায় থাকে, তাহলে চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে তিনি পরবর্তী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “মিল্টন শুধু রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি এক জনসম্পৃক্ত সমাজকর্মী। তাঁর মতো তরুণ ও শিক্ষিত নেতৃত্ব সন্দ্বীপের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।” ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন বলেছেন, “সন্দ্বীপের মানুষের উন্নয়ন ও অধিকার নিশ্চিত করাই আমার রাজনীতির লক্ষ্য। প্রবাসী ও স্থানীয় জনগণের ঐক্য গড়ে একটি স্মার্ট সন্দ্বীপ গড়ে তোলাই আমার স্বপ্ন।” SHARES নির্বাচনের মাঠ বিষয়: