আনোয়ারায়  সাজ্জাদ হত্যা মামলার ঘটনায় গ্রেফতার ২,পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

প্রকাশিত: ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২৫

‎আনোয়ারা  ( চট্টগ্রাম )  প্রতিনিধি

‎চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সিএনজি চালক সাজ্জাদ (২২) হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর মামলার ঘটনা উদঘাটন করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তারের পর জানা যায় ঘটনার মূল রহস্য।

‎শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ৯টায় আনোয়ারা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) এস.এস.পি সোহানুর রহমান সোহাগ এবং আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি সোহানুর রহমান সোহাগ জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিসি ফুটেজে দেখা যায় উপজেলার বটতলী রুস্তমহাট থেকে রিজার্ভ ভাড়ার কথা বলে সিএনজি চালক সাজ্জাদকে বরুমচড়া কানু মাঝির হাট এলাকায় নিয়ে যায় আন্তঃজেলা সিএনজি চোরচক্রের অন্যতম সদস্য সাইফুল। কানু মাঝির হাটে পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকেই রমজান আলী ওরফে আক্কর, মো. হারুন, সুমন এবং আশরাফকে জানিয়ে দিয়েছিল আন্তঃজেলা চোরচক্রের সদস্য সাইফুল।

পরিকল্পনা অনুযায়ী রাত পৌনে ৮টার দিকে কানু মাঝির হাট বেড়িবাঁধ-সংলগ্ন স্থানীয় নুরুল হকের ফিশারির খামারের পাশে এসে সিএনজিটি থামিয়ে আসামি সুমন সিএনজি চালক সাজ্জাদকে জোর করে মুখ চেপে খামারের দীঘির ভিতরে নিয়ে যায়। পরে তাকে মুখ বেঁধে জবাই করে এবং শরীরে আঘাত করে খামারের দীঘির কিনারায় পানিতে ফেলে রেখে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি।

এই ঘটনার দুই দিন পর (১৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে দুপুরে সিএনজি চালক সাজ্জাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে (১৭ সেপ্টেম্বর) আনোয়ারা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সাজ্জাদের পিতা নাছির ড্রাইভার।

‎পরবর্তীতে বিভিন্ন সিসি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আনোয়ারা থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বরুমচড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শাহ আলমের পুত্র রমজান আলী ওরফে আক্কর (৩৭) এবং একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল হাশেমের পুত্র মো. হারুন (৪২)। এই হত্যার প্রধান আসামি মো. সাইফুল অন্য এক ঘটনায় চন্দনাইশ থানায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে আছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, এই ঘটনার প্রধান আসামি সাইফুলের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত দুই জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে