সেতু নির্মাণ কাজে ধীরগতি, দুর্ভোগে এলাকাবাসী প্রকাশিত: ৪:৪৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৫ বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের কেরানী বাজার সেতুর নির্মাণ কাজ চার বছর অতিক্রম করেও শেষ হয়নি। দীর্ঘদিনের গাফিলতি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অব্যবস্থাপনা ও নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেতুর কাজ বারবার বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর ফলে এলাকার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ একটি কাঠের সাঁকোর ওপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ২০২১ সালের শুরুতে প্রায় ৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকায় ‘ACNT-JV’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেরানী বাজার সেতুর কাজ হাতে নেয়। কাজটি ২০২২ সালের অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি ও প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজ বন্ধ হয় এবং প্রতিষ্ঠান চুক্তি বাতিল করে। পরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় ‘মেসার্স নুর সিন্ডিকেট’ নামে আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ হাতে নেয়। যদিও চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার শর্ত থাকলেও এখনো চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি নেই। স্থানীয়রা জানান, কাঠের সাঁকো ভাঙাচোরা ও ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অন্য কোনো বিকল্প না থাকায় সেটিই একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। সাঁকো দিয়ে ব্যাটারি চালিত রিকশা, মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাবেদ হোসেন অভিযোগ করেন, “বছরের পর বছর শুধু কাজের নাটক চলছে। কাজ শুরু হয়, কিছুদিন চলে, আবার বন্ধ। এখন কাঠের সাঁকো ছাড়া বিকল্প নেই।” চিকিৎসাকর্মী সবিধা দে বলেন, “ভাঙা সাঁকো দিয়ে রোগী পার করাতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের হাসপাতালে নিতে ভয় লাগে।” রিকশাচালক মো. জাকির বলেন, “সরকারের অপেক্ষা করতে করতে আর পারি না। নিজের ঘরের কাঠ এনে সাঁকো মেরামত করি।” চরণদ্বীপের বাসিন্দা মো. রাশেদ জানান, “প্রতিবার ঈদ এলেই আতঙ্ক শুরু হয়। সাঁকো ভেঙে গেলে পুরো যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।” এ ব্যাপারে বোয়ালখালী উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, “প্রথম ঠিকাদার কাজ ফেলে যাওয়ায় নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুই ঈদের কারণে কিছুটা ধীরগতি ছিল। এখন আবার কাজ চলছে। আশা করছি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।” স্থানীয় মানুষের নিরাপদ ও দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত এই সেতুর কাজ শেষ করা প্রয়োজন বলে তারা দাবি করেছেন। প্রথম / আরডি SHARES জেলা/উপজেলা বিষয়: